আমাদের সম্পর্কে

আমাদের সম্পর্কে

এটি একটি শেখা – শেখানোর অনলাইন প্লাটফর্ম

এটি আমাদের ফরজে আইন ইলম প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের একটা অংশ। এই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের অনেকগুলো দারস বা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সামনে অনেকগুলো হবে ইন শা আল্লাহ। একদম সাধারণ পর্যায়ের জরুরী বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হবে। কোন জটিল, সুক্ষ্ম বিষয় নিয়ে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা এখানে হবে না। আপনি যদি শিখতে চান, আপনার শেখা বা জানা সহীহ হচ্ছে কিনা তা পর্যালোচনা করতে আগ্রহী হন, ইলমের জন্য অপরিহার্য মেহনতের জন্য কষ্ট স্বীকার করতে আপনি রাজী থাকেন, তাহলেই কেবল এখানে থাকলে আপনার উপকার হবে। আমাদের একটা ফরজে আইন ইলমের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স হবে ইন শা আল্লাহ। আপনি ধীরে ধীরে সবগুলো করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন ফী দিতে হবে না। আমাদের কোর্সগুলো সম্পূর্ণ ফ্রী। এই মাদ্রাসাটিকে এই দৃষ্টি দিয়ে দেখলে ইন শা আল্লাহ আমাদের সবার উপকার হবে। আপনি যদি নিজেকে তালেবে ইলম মনে করেন, আমাদের এই ফরজে আইন ইলম প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের অংশ হতে পারেন।

তালেবে ইলমগনের জিজ্ঞাসার জবাবে

দ্বীনি ইলম শেখার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শুরুতেই ভালো করে যাচাই করে নেয়া আমরা কার কাছ থেকে ইলম নিচ্ছি। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সিরীন রহঃ বলেন, إن هذا العلم دين فانظروا عمن تأخذون دينكم.
নিশ্চয়ই এই ইলম তোমাদের দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত, কাজেই তোমরা ভালো করে দেখো, তোমরা কার কাছ থেকে দ্বীন নিচ্ছো।

দ্বীনের ইলমের ক্ষেত্রে সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ তিনি কি স্ব-অধ্যয়নের মাধ্যমে দ্বীন শিখেছেন, নাকি যোগ্য উস্তাদদের কাছ থেকে দ্বীন শিখেছেন।
ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক রহঃ বলেন, لولا الإسناد لقالوا من شائو ا ما شائوا .
অর্থাৎ সনদ যদি না থাকতো, তাহলে যার যা ইচ্ছা দ্বীনের নামে তা’ই বলতো।

সনদ উম্মাতে মুহাম্মাদীয়ার এমন এক বৈশিষ্ট্য, যাতে অন্য কোন জাতি শরীক নেই। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এখানে যারা বিভিন্ন কোর্স করার জন্য যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের শুরুতেই মুয়াল্লিম সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত। আগের জমানায় তালেবে ইলমগন ইলম নেয়ার ক্ষেত্রে উস্তাদের দুটি বিষয় দেখতেন।
এক হলো যবত বা সংরক্ষণ,
দুই হলো আদালাহ অর্থাৎ তিনি কতটুকু নির্ভরযোগ্য, ইলমের বাহক হিসেবে তিনি কতটুকু সৎ। আমাদের অনলাইন দ্বীন শিক্ষা কার্যক্রমে এই দুটি বিষয় ভালোভাবে যাচাই করা কঠিন। তারপরও যতটা সম্ভব যাচাই করে নেয়া জরুরী।

আমরা এখানে আমাদের যিনি মুয়াল্লিম তাঁর শিক্ষাগত দিকগুলো ততটুকু তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যতটুকু আস্থা তৈরি হওয়ার জন্য জরুরী। বাকীটা গ্রুপে আমাদের মিফতাহুল উলূম অনলাইন একাডেমী এর বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত তালেবে ইলমগন আছেন, তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এমন ব্যক্তিগন আছেন, তারা যতটুকু মুয়াল্লিমকে পেয়েছেন, সে অনুসারে তারা জানাতে পারবেন। আশা করি পুরাতন তালেবে ইলমগনের সাক্ষ্য নতুনদের আস্থা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট হবে।

আমাদের এই একাডেমীর যিনি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং মূল ইনস্ট্রাক্টর,  তিনি পেশায় একদিকে একজন ডাক্তার , অন্যদিকে ইলম হাসিলের জন্য মাদ্রাসার পরিবেশে তিনি দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন। 

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির(বাডাস) ডিসট্যান্স লার্নিং প্রোগ্রাম এর তিনি একজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং সিসিডি কোর্সের টিউটর হিসেবে আছেন ২০০৭ ইং থেকে। তিনি এমবিবিএস পাশ করেন সিএমসি থেকে ২০০৪ সনে। এমবিবিএস এর পর থেকেই সীমিত পর্যায়ে প্র্যাকটিস করার পাশাপাশি তিনি ইলমে দ্বীন হাসিল করার জন্য কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা শুরু করেন এবং দীর্ঘ চৌদ্দ বৎসর ইলমে দ্বীন শেখার কাজে ব্যয় করেন। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে তিনি হাটহাজারী জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম থেকে হাইআতুল উলিয়ার অধীনে অনুষ্ঠিত তাকমীলুল হাদীস (মাস্টার্স) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ৮০৪ নম্বর পেয়ে মুমতাজ হন।

এরপর তিনি জামিয়াতুল আরবিয়া নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা থেকে তাখাস্সুস ফিল ফিকহিল ইসলামীর উপর পড়াশুনা করেন। এরপর থেকে যোগ্য মুফতি ও ওলামাদের তত্ত্বাবধানে তিনি উচ্চতর পড়াশুনায় ব্যস্ত আছেন। তাঁর উস্তাদগনের সিংহভাগ এখনও জীবিত, প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকেও জেনে নেয়া যেতে পারে। এছাড়া ছয় বছর ধরে বায়তুল মা’মুন জামে মসজিদে খতীব হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন এবং মেডিকেল লাইফের শুরু থেকে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের সাথে যুক্ত। তিনি জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত, তাই নিজের স্বগোত্রীয়দের দ্বীনি তালীমের দায়িত্ববোধ থেকে মিফতাহুল উলূম অনলাইন একাডেমী এর মাধ্যমে লিল্লাহি তাআলা বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন।

আমরা আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাকওয়া ও আমানতদারীর সাথে তালীম ও তায়াল্লুম চালিয়ে যেতে পারেন এবং সব ধরনের পদস্খলন থেকে যেন আল্লাহপাক তাকে হেফাজত করেন।